ঢাকা | বঙ্গাব্দ

'র' এর চক্রান্ত ফাঁস

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Jun 1, 2025 ইং
'র' এর চক্রান্ত ফাঁস ছবির ক্যাপশন: সংগৃহীত
ad728

 গোপন ষড়যন্ত্রের জাল উন্মোচিত: অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনায় জড়িত আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ শীর্ষ নেতারা।

রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের উত্তাপ ছড়িয়েছে। রাজধানীসহ সারা দেশে টার্গেট কিলিংয়ের মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির চক্রান্তের তথ্য উঠে এসেছে। এই ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সুব্রত বাইন ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোল্লা মাসুদসহ চারজন, যাদের সম্প্রতি রিমান্ডে নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তদন্ত সূত্রে জানা যায়, এই পরিকল্পনার পেছনে মদদ রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নিষিদ্ধ ঘরানার কিছু প্রভাবশালী নেতার। উদ্দেশ্য ছিল বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে দেশে রাজনৈতিক টানাপড়েন তৈরি করা। ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে অর্থের জোগান আসে প্রতিবেশী দেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে। ওই অর্থ দিয়ে গড়ে তোলা হয় একটি সুসংগঠিত সন্ত্রাসী বাহিনী, যাদের কাজ ছিল নির্দিষ্ট টার্গেটের ওপর আঘাত হানা। ঢাকার হাতিরঝিল থানা এলাকায় অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার হওয়া সুব্রত বাইনকে আট দিনের এবং তার তিন সহযোগীকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন—মোল্লা মাসুদ, শ্যুটার আরাফাত ও এমএএস শরীফ। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে অস্ত্র ও গুলি সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের কাছে সরবরাহের পরিকল্পনা ছিল তাদের। এসব অস্ত্র পাঠানো হতো মগবাজার, গুলশান, শাহবাগ ও বাড্ডা এলাকায়। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের পর এই সন্ত্রাসীরা সুব্রত বাইন বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়। এদের অধিকাংশের নাম পুলিশের খাতায় না থাকলেও, তারা এলিট শ্রেণির উঠতি বয়সি যুবক, যারা রাজনৈতিক ছায়ায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সুব্রত বাইন দাবি করেন, অতীতে তার উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে এবং ২০২২ সালে তাকে ‘আয়নাঘরে’ আটকে নির্যাতন করা হয়। তিনি বলেন, অস্ত্র রাখার কারণ ছিল আত্মরক্ষা। তার ভাষ্য, “কে মরতে চায়?” প্রাপ্ত তথ্যমতে, বাইন ও মাসুদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কিছু প্রবাসী শীর্ষ নেতার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তারাই অস্ত্র ও লোকবল সংগঠনের জন্য অর্থ পাঠাতেন, যেগুলো যশোর, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ সীমান্ত দিয়ে লেনদেন হতো। এ জন্য কুষ্টিয়াকে ঘাঁটি বানিয়েছিল এই চক্র। তদন্তে আরও জানা যায়, এই পরিকল্পনার মূল কৌশল ছিল এক দলের নেতা অন্য দলের নেতাকে খুন করেছে—এমন বিভ্রান্তি ছড়িয়ে রাজনৈতিক বিভাজন সৃষ্টি করা, যাতে ক্ষমতার পালাবদলে সুবিধাজনক অবস্থানে আসতে পারে একটি পক্ষ। গোয়েন্দাদের প্রশ্নের জবাবে সুব্রত জানান, বিএনপির ‘২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসী তালিকায়’ তার নাম থাকার কারণে তিনি দেশ ত্যাগ করেন এবং পরে বিএনপির কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহায়তা না পেয়ে আওয়ামী লীগপন্থী গোষ্ঠীর হয়ে কাজ শুরু করেন। 


নিউজটি পোস্ট করেছেন : 57wing


কমেন্ট বক্স
সাম্য হত্যায় গ্রেফতারকৃত ত জনের পরিচয় মিলেছে

সাম্য হত্যায় গ্রেফতারকৃত ত জনের পরিচয় মিলেছে