🌐 হ্যাকিং দুনিয়ার কিংবদন্তি: কেভিন ডেভিড মিটনিক
যদি হ্যাকিং জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত নাম খোঁজা হয়, তবে নিঃসন্দেহে কেভিন ডেভিড মিটনিক সেই তালিকার শীর্ষে থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই কুখ্যাত হ্যাকার এক সময় ছিলেন এফবিআই-এর মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়। অনেকেই তাকে “ফাদার অব হ্যাকারস” বলে ডাকেন।
মাত্র ১২ বছর বয়সেই কেভিন হ্যাকিংয়ের পথে পা বাড়ান। শুরুর দিকে তিনি ‘সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’-এর মাধ্যমে লস অ্যাঞ্জেলেসের পাবলিক বাস সার্ভিসের পাঞ্চ কার্ড হ্যাক করে ফ্রি যাত্রা করতেন। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ১,৬০,০০০ ডলার ক্ষতি হয়।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে, ১৯৭৯ সালে, এক বন্ধুর সাহায্যে তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরপানেট (ARPANET) সিস্টেমে প্রবেশ করে ��্পর্শকাতর তথ্য দেখতে সক্ষম হন।
এরপর একে একে মটোরোলা, নকিয়া, ফুজিৎসুর মতো বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানির সিস্টেম হ্যাক করে তিনি চমকে দেন সবাইকে। তার অসাধারণ দক্ষতার জন্য তাকে উপাধি দেওয়া হয় – "গ্লেন কেজ"।
🎓 শিক্ষাজীবনে তিনি ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ক্যালোলিনায় পড়াশোনা করেন। কিন্তু হ্যাকিংয়ের পথ তার ভবিষ্যৎ অন্য দিকে মোড় নেয়। ১৯৮৮ সালে ডিইসি (DEC) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাইট হ্যাক করায় তিনি এক বছর জেল খাটেন। আরেকটি মামলায় যখন তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়, তখন তিনি প্রায় ২.৫ বছর আত্মগোপনে ছিলেন।
অবশেষে ১৯৯৫ সালে এফবিআই তাকে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগের তালিকায় ছিল মটোরোলা, নকিয়া এবং পাঞ্চ কার্ড হ্যাকিং। তাকে পাঁচ বছরের সাজা দেওয়া হয়। ২০০০ সালে মুক্তি পেলেও, ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি ইন্টারনেট বা কোনো ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে পারতেন না।
🔐 মুক্তির পর তিনি নিজের সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি, Mitnick Security Consulting, গঠন করেন এবং নিরাপত্তা পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেন।
🕊️ ২০২৩ সালে, এই হ্যাকিং দুনিয়ার কিংবদন্তির জীবনাবসান ঘটে। তবে তার গল্প আজও হ্যাকারদের মাঝে অনুপ্রেরণার উৎস।
🖤