ঢাকা | বঙ্গাব্দ

রাইট ট্র্যাকে বিএনপি

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : May 20, 2025 ইং
রাইট ট্র্যাকে বিএনপি ছবির ক্যাপশন: Sources : Daily Inqilab
ad728

“দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য আমরা কতদূর এগিয়েছি? আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলছেন, ‘আমরা দিল্লির গোলামি থেকে মুক্তি পেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেই মুক্তি যদি ওয়াশিংটন বা মস্কোর দাসত্বের মধ্যে ঢুকে পড়তে হয়, তবে তার চেয়ে অন্ততঃ স্বাধীনতাই শ্রেয়।’ একই সময়ে, বিএনপির নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আমরা এখন ঔপনিবেশিক শোষণে আছি। কেন আমরা সেন্টমার্টিন বা সাজেক যেতে পারি না? আমরা কি এখনো পরাধীন?’ এই বক্তব্য দুটি গতকাল সামাজিক মাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। বেশিরভাগ মানুষ এই বক্তব্যকে সময়োপযোগী ও সাহসী হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। কিন্তু বাস্তবে আমরা কোথায় অবস্থান করছি? এখনকার পরিস্থিতি, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের খবরে যেমন অনেকের মধ্যে আনন্দের ঝিলিক দেখা যাচ্ছে, তেমনি দেশীয় বাস্তবতা কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে, সে প্রশ্নও উঠে আসছে। বিশেষ করে দেশের অর্থনীতি এবং সেন্টমার্টিনের মত জায়গাগুলোর পরিস্থিতি নিয়ে কী ভাবা হচ্ছে? শুধু কি প্রবাসী রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরশীল হয়ে আমাদের অর্থনীতি চলবে? কিংবা গত ৯ মাসে দেশীয় অর্থনীতির কোন উন্নতি হয়েছে? এখন দেশের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, শেখ হাসিনার সময়ের মতোই সরকার সময় সময় নতুন নতুন বিতর্কিত ঘটনা তৈরি করছে, যাতে জনগণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে মনোযোগ না দিয়ে, অকারণ বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নতি যে কোনো নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমেই আসবে, এটা একেবারেই স্পষ্ট। কিন্তু দেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা কী? যদি শেয়ার বাজারের বর্তমান চিত্র দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন যে দেশের অর্থনীতি আদৌ ভালো নেই। বিদেশি বিনিয়োগের কথা বললেও নির্বাচিত সরকার ছাড়া কেউ ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। ব্যাংকিং সেক্টরের দুরবস্থা, গার্মেন্টস সেক্টরের দুরবস্থা এবং উৎপাদনে সমস্যা—সবই স্পষ্ট প্রমাণ যে অর্থনীতির কোনো গতি নেই। এছাড়া, সরকারের মধ্যমণিরা, বিশেষ করে যেসব উপদেষ্টা একসময় দুর্নীতির কারণে আলোচনা সৃষ্টি করেছেন, তারা এখন প্রশাসনে নিজেদের জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। আর বিদেশি নাগরিকদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর চর্চা চলছে। এর ফলস্বরূপ, দেশের মেধাবী নাগরিকরা সেই জায়গাগুলো থেকে বাদ পড়ছে। একদিকে দেশের অর্থনীতি সংকটে, অন্যদিকে ভোক্তাদের জীবনে একটাই সমস্যা—মূল্যস্ফীতি। এমন পরিস্থিতিতে, রাজনৈতিক দলের ভূমিকা কী? বিএনপি একমাত্র দল হিসেবে দায়িত্বশীলভাবে সরকারকে সমালোচনা করছে, কিন্তু কোনো অযৌক্তিক আন্দোলন বা ঘটনার মধ্য দিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাচ্ছে না। তারা চাইছে দ্রুত একটি নির্বাচিত সরকার গঠন করতে, যেটি শুধু দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্যই নয়, বরং জাতীয় অর্থনীতির জন্যও অত্যন্ত জরুরি। এদিকে, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে আন্দোলন করা হচ্ছে, কিন্তু বিএনপি কখনো তাদের পুনর্বাসন করবে না।’ অন্যদিকে, ছাত্র-জনতার চাপে, ড. ইউনূসের সিদ্ধান্তের ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে, আর দেশের মধ্যে বিভাজন আরও তীব্র হচ্ছে। এমনকি বিদেশিদের আগমনও বেড়েছে, যা সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করছে। এছাড়া, বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং লেবার পার্টির ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানও একইভাবে সরকারকে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য একের পর এক নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিভ্রান্ত করছে। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, দেশের পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থান কী হবে? রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সমঝোতা ছাড়া দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তরণ সম্ভব নয়। এনসিপি মনে করে, জাতীয় ঐক্য ছাড়া দেশে কোনো উন্নতি আসবে না। তাদের মতে, ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশি জনগণের হাতেই কেবল বাংলাদেশের ভবিষ্যত রক্ষা সম্ভব। তাই, সময় এসেছে সত্যিকারের দেশপ্রেমিক সরকার প্রতিষ্ঠার।


নিউজটি পোস্ট করেছেন : 57wing


কমেন্ট বক্স
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের মতামত