অর্থনৈতিক সংকটে ভারত: যুদ্ধ, কূটনৈতিক টানাপোড়েন ও নীতিগত ব্যর্থতা ভারতের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও আঞ্চলিক অস্থিরতার প্রভাবে দেশটি এক গভীর সংকটের মুখে পড়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। কাশ্মীরে সংঘটিত একটি হামলার পর, পাকিস্তানকে দায়ী করে ভারতের প্রতিক্রিয়া এবং তার প্রেক্ষিতে সামরিক উত্তেজনার ফলে দেশটির অর্থনীতিতে নেমে এসেছে প্রবল ধস। কোনো সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়াই সামরিক প্রতিশোধের পথ বেছে নেওয়ায় যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়, যার ফলে ভারতের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নানাবিধ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই সংঘাতে ভারতের প্রাথমিক ক্ষতি হিসেবে ধরা হচ্ছে আধুনিক যুদ্ধবিমানের ধ্বংস, যার মধ্যে রয়েছে রাফাল সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এয়ারক্রাফট। শুধু সামরিক ব্যয়েই নয়, অর্থনৈতিক কার্যক্রমেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। আইপিএল-এর মত জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়া এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতি দেশটির বিনোদন ও ক্রীড়া খাতে বড় ধরনের ধাক্কা দেয়। প্রতিদিনের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩০ কোটি টাকার ওপরে। সরকারি পরিসংখ্যান ও বিশেষজ্ঞ মত অনুযায়ী, যুদ্ধ, কূটনৈতিক বিরোধ ও বিনিয়োগ প্রত্যাহারের কারণে ভারতের ক্ষতি ছাড়িয়েছে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রেমিট্যান্স হ্রাস, বিনিয়োগ বাতিল এবং বিদেশী তারকাদের দেশত্যাগ – এই সবকিছু মিলে ভারতের রিজার্ভ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রুপির মান পড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে, যা আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আঞ্চলিক সম্পর্কেও নেমেছে শীতলতা। বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও চরম টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। বাণিজ্য বন্ধ, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল, সুতা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা – সব মিলিয়ে উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে পড়ছে। এই টানাপোড়েনের ফায়দা নিচ্ছে চীন, যারা বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করেছে। এছাড়াও চীনের সাথে সীমান্ত উত্তেজনা, বিশেষ করে অরুণাচল প্রদেশ ঘিরে সংঘর্ষের সম্ভাবনা এবং এর কারণে নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বৃদ্ধিও ভারতের ওপর আর্থিক চাপ বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের মহাকাশ সংস্থা ইসরোর সাম্প্রতিক উৎক্ষেপণ ব্যর্থতাও দেশের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সামগ্রিকভাবে ভারত ইতোমধ্যেই ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভারতের অর্থনীতি অচিরেই চরম দেউলিয়াত্বের দিকে অগ্রসর হতে পারে।