57wing
ইরান কীভাবে ইসরায়েলের মোসাদ কার্যালয়ে আক্রমণ করে পুরো বিশ্বকে চমকে দিলো
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং অভিজ্ঞ গোয়েন্দা সংস্থা হিসেবে পরিচিত ইসরায়েলের মোসাদ। কিন্তু এবার সেই মোসাদের কেন্দ্রস্থলেই আক্রমণ চালিয়ে পুরো বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে ইরান। কিছু দিন আগে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা করেছিল, যা যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। সেই যুদ্ধের ফলস্বরূপ ইরানের পাল্টা হামলার মুখে এখন কড়া শাস্তি পেতে হচ্ছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে। বিশ্বের সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাতের বাষ্প rising, তখনই ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ইসরায়েলের এক সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র এবং মোসাদের প্রধান কার্যালয়ে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই হামলা সহজ ছিল না আইআরজিসির জন্য। পূর্ব পরিকল্পনার ভিত্তিতে অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে তারা এই অভিযান পরিচালনা করে। আইআরজিসি তাদের দাবি অনুযায়ী, অত্যাধুনিক বাহির-এলভে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে, যা একাধিক বাধা পার করে এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। সেইসাথে, বিশেষ ধরনের ড্রোনও ব্যবহার করা হয়েছে, যা ক্ষেপণাস্ত্রের পথ ও লক্ষ্য সনাক্তকরণের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। আইআরজিসির এই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের সমন্বিত আক্রমণে ইসরায়েলের বিশ্ববিখ্যাত তিন স্তরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা— "আইরন ডোম", "ডেভিডস স্লিং", এবং "এরো সিস্টেম"— পুরোপুরি অকার্যকর হয়ে পড়ে। এর ফলস্বরূপ, মোসাদ কার্যালয়ে আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি। এই হামলার পর, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যেনো রাতের ঘুম উড়ে গেছে। ইতিমধ্যেই ইরানে হামলা চালানোর পর পাল্টা আক্রমণের ভয় থেকে তিনি আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। এখন মোসাদের কার্যালয়ে হামলা তার জন্য একটি কঠিন পরীক্ষায় পরিণত হয়েছে।
